ঢাকা,বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

পেকুয়ায় বাল্য বিয়ের চেষ্টা: পিতা আটক

পেকুয়া প্রতিনিধি  :

পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর মেহেরনামা এলাকার শীলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী মোছাম্মদ সুরাইয়া খানমকে (জিসান) জোরপূর্বক বাল্য বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করায় অভিভাবক সৌদি প্রবাসী হাজ্বি দেলোয়ার হোছাইনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল পেকুয়া থানার এসআই সুব্রত রায় তাকে আটক করলেও বাল্য বিয়ে দিবেনা মর্মে মোচলেকা দিলে সদর ৭নং ইউপি সদস্য জিয়াউল হকের জিম্মায় দেওয়া হয়।

এই বিয়ের বর ছিলেন, চকরিয়া উপজেলার বিএমচর খঞ্জানী ঘোনা এলাকার মো: রুহুল আমিনের পুত্র আরব আমিরাত প্রবাসী হাফেজ মো:আব্দু রহিম। সোমবার (৩০অক্টোবর) তাদের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক ছিল। আর এ বাল্য বিয়ের আয়োজক ছিলেন তালিমুল আতফাল ইসলামী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মৌলভী আব্দুল হাকিম। পুলিশ যাওয়ার পর সেই পালিয়ে যায়।

শীলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ইব্রাহিম জানান, মোছাম্মদ সুরাইয়া খানম আমার স্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্রী। তার বয়স ১৫ বছরের কিছু বেশি। আমরা জানতাম না তার বাল্য বিয়ে হচ্ছে। প্রশাসন ও স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পেরে অভিভাবকদের সাথে কথা বলে বিয়ের বন্ধের জন্য বলেছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়াউল হক জানান, শীলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর মোছাম্মদ সুরাইয়া খানম এর বিয়ে হচ্ছে জানতে পেরে উপজেলা চেয়ারম্যান আমাকে ফোন দেন। তার ১০ মিনিট দেখি পেকুয়া থানার কর্মকর্তা সুব্রত রায় পিতা দেলোয়ার হোছাইনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং আমরা মোচলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনি। কোন মতেই বাল্য বিয়ে হবেনা।

উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু বলেন, এ বাল্য বিয়ের বিষয়টি প্রশাসনের উর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষ থেকে আমাকে জানানোর পর বন্ধের সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরে এ বিয়ের আয়োজন হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম খান বলেন, যতই প্রভাবশালী হউক বাল্য বিয়ে পেকুয়ায় হবেনা। নবম শ্রেনীর ছাত্রী মোছাম্মদ সুরাইয়া খানম এর বিয়ের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে পিতাকে আটক করি। বিয়ে দিবেনা মর্মে মোচলেকা দিলে স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়াউল হকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। পরে এ বিয়ের আয়োজন হলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

পাঠকের মতামত: